নিউজ ডেস্ক: পড়শি দেশ পাকিস্তানে বসেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আবার সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর ঘুঁটি সাজাচ্ছে দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর সহযোগীরা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দাউদ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এনআইয়ের অভিযোগ, পাকগুপ্তচর সংস্থা এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশিষ্টদের টার্গেট করছে ডি কোম্পানি।
দাউদ ও তাঁর সহকারী ছোটা শাকিলের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত চার বছরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা ‘অনুদান’ হিসাবে পাঠিয়েছেন দাউদ। গোয়েন্দা সংস্তা আরও দাবি করেচে, সম্প্রতি পাকিস্তান হয়ে দুবাই থেকে সুরাট এবং মুম্বইয়ে হাওয়ালার টাকা এসেছে। ওই অনুদানের পিছনেও রয়েছেন দাউদ এবং তাঁর সহযোগী ছোটা শাকিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, ডি-কোম্পানির থেকে প্রথমে দুবাইয়ের রশিদ মারফানি ওরফে রশিদ ভাইয়ের কাছে টাকা পৌঁছয়। তারপর সেই টাকা রশিদ ভাই তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভারতে পৌঁছে দেয়। মুম্বইয়ের পূর্ব মালাডে এপ্রিল মাসেই দাউদের পাঠানো টাকা রশিদ ভাইয়ের নেটওয়ার্ক হয়ে আরিফের কাছে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতেই কি লটারি! খতিয়ে দেখছে সিবিআই
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনআইএ, দাউদ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ীদের নিশানা করছে দাউদ। এনআইএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দাউদ ও তাঁর সঙ্গীরা ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আল কায়েদা সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে। লস্কর-এ-তইবা প্রধান হাফিজ সইদ, জইশ-এ-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার, হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনের সঙ্গেই ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম। ২০০৩ সালে দাউদের মাথার দাম ২৫ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ, ভারতীয় টাকায় যা প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
Leave a Reply