নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতে পুলিশি অভিযান। যা নিয়ে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। দাঁড়িপাল্লায় উঠেছে গণতান্ত্রিক অধিকার, জোড়ালো গলায় সোচ্চার রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। সল্টলেকে আন্দোলতরত চাকরিপ্রার্থীদের জোর করে তুলে, মাত্র ১৫ মিনিটের অভিযানে তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের গলা টিপে হত্যা করেছে বিধাননগর পুলিশ। এমনকি আটকও করা হয়েছে আন্দোলতরত চাকরিপ্রার্থীদের। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে অবিলম্বে রাজ্য সরকাকে আলোচনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীর একাংশরা। একইসঙ্গে তাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের অনশন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ এবং সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক অ্যাখ্যা দিয়েছেন তাঁরা।
করুণাময়ীর পর্ষদ অফিসের সামনের ‘একতা মঞ্চ’ থেকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার ঘটনায় এবার ঘোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সাংস্কৃতিক জগতের একাধিক বিশিষ্টরা। একটি বিবৃতি জারি করে বুদ্ধিজীবীরা লিখেছেন, “সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখেছি, অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কী ভাবে বিধাননগর পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনাকে আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই এবং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি।”
একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে এই বুদ্ধিজীবীরা বলেন, “১৪৪ ধারা বলবৎ করার আদেশ দিতে গিয়ে মাননীয় বিচারক মন্তব্য করেছিলেন পুলিশ কি পাওয়ার লেস? এই মন্তব্য সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিক সুরক্ষা বিরোধী।”
পাশাপাশি, সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে তাঁরা বলেন, “অবিলম্বে সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের যাতে না করা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করছি।”
যৌথ এই বিবৃতিতে সই করেছেন ড. বিনায়ক সেন, অপর্ণা সেন, ডা. কুণাল সরকার, সুজন মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, সুমন মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রেশমি সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়।
Leave a Reply