নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের আন্দুলগোড়ি এলাকায় তিনদিন ধরে যে নথি পুড়ছিল, সেগুলি এই রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির নথি নয়। সেগুলি আসলে বিহার সরকারের। এমনটাই সূত্রের দাবি।
মঙ্গলবার সকালে আন্দুলগোড়ি এলাকায় পোড়া কাগজ থেকে নথি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। প্রথমে এলাকার কিছু বাসিন্দা বলতে শুরু করেন যে, ওই নথিগুলি নিয়োগ দুর্নীতির হতে পারে। যদিও পরে জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও নথি পোড়ানো হচ্ছিল না। ওই ধরনের কোনও আধপোড়া নথি সিবিআইয়ের হাতেও আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাননি সিবিআই আধিকারিকরা। বরং বিহার সরকারের কিছু অডিট সংক্রান্ত নথি পোড়ানো হচ্ছিল, এমনই প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা সেই নথি যাচাই করছেন। কারা এই বস্তাবন্দি নথি সংগ্রহ করে একসঙ্গে পোড়াচ্ছিলেন, কেনই বা ভাঙড়ের চর্মনগরী এলাকায় সেগুলি পোড়ানো হচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই তথ্য সিবিআই জানার চেষ্টা করছে। তদন্তকারীরা আগুনে আধপোড়া বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে সিবিআই দফতরে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার সকাল এগারোটা নাগাদ ভাঙড়ের বানতলা চর্মনগরীর পাঁচিল লাগোয়া আন্দুলগোড়ি এলাকায় হঠাৎই কয়েকটি গাড়িতে করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। ওই এলাকায় ফাঁকা মাঠের মাঝে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একটি বড় জমিতে যান তাঁরা। সেখানে তখন কয়েক বস্তা কাগজে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভোর থেকেই ওইসব জড়ো করা নথিতে আগুন জ্বলছিল। উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগ নথিই পরীক্ষা করে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পারেন সেগুলি সবই বিহার সরকারের কৃষি ও মৎস্য দফতরের অডিট সংক্রান্ত নথি।
Leave a Reply