ইউ এন লাইভ নিউজ: তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে পরেই দেশে প্রথম বিদেশমন্ত্রক উপস্থিত হয়েছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লির হায়দরাবাদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বাণিজ্যিক কিছু চুক্তি করেন। তার মধ্যে অন্যতম তিস্তার জলবণ্টন। তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে আলোচনা হয়েছে তার অংশিদার করা হয়নি বাংলাকে। অর্থাৎ মমতা সরকারকে না জানিয়েই তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মোদি সরকার। এই নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু মমতার এই অভিযোগ একেবারেই খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র।
উল্টে তাঁদের দাবি বাংলা সরকারকে জানিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলা সরকার তিস্তা জলবণ্টন আলোচনা নিয়ে সবটাই জানে। মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার মিথ্যে অভিযোগ করছেন বলে পাল্টা দাবি করেছে কেন্দ্রে। সোমবার মমতা বন্দোপাধ্যায় এই নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র নিশানা করেছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাকে যুক্ত না করার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন তিস্তাতে জল নেই তারপরেও বাংলাদেশকে জল দিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার। বাংলাকে ভাতে মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিস্তার জল বাংলাদেশে গেলে উত্তরবঙ্গের একাংশের মানুষ খাবার জল পাবে না। উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদীতে জল নেই বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি অভিযোগ করেছেন, তিস্তায় ১১টির বেশি ড্যাম তৈরি করেছে সিকিম। তার জন্য উত্তরবঙ্গে তিস্তায় জল কমছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মোদি সরকার যে জলবণ্টন চুক্তির পথে হাঁটছে তাতে উত্তরবঙ্গের মানুষ আগামীদিনে জল পাবেন না। সেকারণে তিনি মোদি সরকারকে কড়া চিঠি লিখেছেন। সমস্যা সমাধান না হলে বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ আগে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনই মনে করেনি মোদি সরকার। বাংলাকে ছাড়াই তিস্তার জল বাংলাদেশকে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। এদিকে সূত্রের দাবি তিস্তার জলবণ্টন করা সম্ভব কিনা তার রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিয়েছে। তারপরেই বাংলাদেশের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা এগিেয়ছে।
Leave a Reply