ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: এতদিন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রেজিস্ট্রেশন, এডমিট, মার্কশিট বা সার্টিফিকেট এর যেকোনও বিষয়ে ন্যূনতম একটি বর্ণের বানান সংশোধনের জন্য ৫০ টাকা করে দিতে হত ছাত্রছাত্রীদের। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে সেটা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করেছে পর্ষদ। ফলে রাজ্যের বহু সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরিবার আতান্তরে পড়ে গিয়েছেন বলে মনে করছেন শিক্ষক, শিক্ষিকাদের একাংশ। বিশেষত, গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির অভিভাবকরা এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর চাপও তৈরি করছেন।
তাঁদের বক্তব্য, পর্ষদের রেজিস্ট্রেশন, এডমিট, মার্কশিট বা সার্টিফিকেট এর যেকোনও বিষয়ে যদি ছাত্রছাত্রীদের কোনও ভুল থাকলে সেটা তো পর্ষদের কারও গাফিলতির কারণেই হচ্ছে। তাহলে পর্ষদের গাফিলতির খেসারত তাঁরা কেন দেবেন? অভিভাবকদের এমন অকাট্য যুক্তিকে মান্যতা দিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষিকারাও। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “অভিভাবক কিংবা পড়ুয়াদের এমন যুক্তি অগ্রাহ্য করার মতো কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। ঠিকই তো, সরকার একদিকে বলছে সকলকে বিদ্যালয়মুখী করতে হবে, অন্যদিকে শিক্ষার নামে এরকম জুলুম চলতে থাকলে তো গ্রামাঞ্চলে দলছুট পড়ুয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।”
ত্রুটি সংশোধনের ফি এক ধাক্কায় ৫০ থেকে ১ হাজার টাকা করার প্রতিবাদে সংগঠনের তরফে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে চিঠিও দিয়েছে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস সংগঠন। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে এবিষয়ে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করার কথাও জানিয়েছেন চন্দনবাবু। তিনি বলেন, “সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের দ্বারস্থ হব।”
Leave a Reply