ইউ এন লাইভ নিউজ: ক্রমশ এগিয়ে আসছে ‘দানা’। ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারের মধ্যবর্তী এলাকায় শুক্রবার সকালের মধ্যে আছড়ে পর্বে ঘূর্ণিঝড়। যার প্রভাবে বৃষ্টি বাড়বে বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারের জন্য। এহেন পরিস্থিতিতে কোনও রকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং কোনারক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই)। বুধবার প্রায় পর্যটকশূন্য পুরী। শুক্রবার পর্যন্ত এই দুই মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে যাতে মন্দির, জাদুঘরগুলির কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে এসএআই। তার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর। ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী জানিয়েছেন, ৫০০০ ত্রাণশিবির বানানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি দল মোতায়েন করা হয়েছে ঝড় মোকাবিলার জন্য। এ ছাড়াও সেনা, নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় যত উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে, ততই হাওয়ার গতি বাড়ছে। আবহাওয়াও বদলাচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়বে ‘দানা’। ইতিমধ্যেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জাজপুর, আঙুল, খুরদা, নায়ারণগড় এবং কটকে। এই জেলাগুলিতে সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জগন্নাথ মন্দির এবং কোনারকের সূর্যমন্দিরের পাশাপাশি ময়ূরভঞ্জের সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং কেন্দ্রাপাড়ার ভিতরকণিতা জাতীয় উদ্যান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply