নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় ঝলদার মৃত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জাবির আনসারিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ১৩ই মার্চ তপন কান্দুকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়। আদালতের নির্দেশে এই খুনের তদন্তে নামে সিবিআই। জাবির আনসারী একজন শার্প শুটার। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে। তপন কান্দু খুনের দিনই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছিল অপরাধীর ছবি। অবশেষে সিবিআই গ্রেফতার করতে সফল হলো তপন কান্দু খুনের প্রধান অপরাধীকে।
গত বছরের পুরভোটে তপন কান্দু কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। বিরোধী পক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁরই ভাইপো দীপক কান্দু। নির্বাচনে ভাইপোকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তপন বাবু। তবে ১৩ই মার্চ হঠাৎই পুরবোর্ড গঠনের ঠিক আগে গুলি করে খুন করা হয় তপন বাবুকে। তপন কান্দু খুনের তদন্তও শুরু হয় রাতারাতি।
অবশেষে আদালতের নির্দেশে এই খুনের তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। খুনের দিন ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে সিবিআই। তাতেই দেখা গিয়েছিলো আসল খুনির ছবি। বাইকে বসেও থাকতে দেখা গিয়েছিলো মূল অপরাধী জাবির আনসারীকে এবং আরেক অভিযুক্ত কলেবর সিংকে।
আরও পড়ুন: খুব শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, দাবি SBI-এর রিপোর্টে
সিবিআইয়ের হাতে তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা তথা তপনবাবুর ভাইপো দীপক কান্দু, ঝালদার ধূপ ব্যবসায়ী আশিক খান, হোটেল মালিক সত্যবান প্রামাণিক এবং ভাড়াটে খুনি কলেবর সিং। তাঁদেরকে জেরা করে সিবিআই। অবশেষে তাদের সূত্র ধরেই এবার শার্প শুটার জাবির আনসারিকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
আরও পড়ুন: কোলের শিশুকে মাটিতে রেখে, জলে ঝাঁপ রবিনার, বাঁচালেন ডুবন্ত এক কৃষককে
তপন কান্দু খুনের মূল অভিযুক্ত জাবির আনসারিকে গ্রেফতার করায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি হন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো। তিনি বলেন, ‘আমরা সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম। এই গ্রেফতারিতেই আবার প্রমাণ হয়ে গেল সিবিআই সিবিআই-ই। আমাদের বিশ্বাস, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা আরও বড় কোনও মাথা ধরা পড়বে। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে।’
Leave a Reply