ইউ এন লাইভ নিউজ: স্কুল জীবনের শেষ সবথেকে বড়ো পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬৯ দিন পর ফলাফল প্রকাশ করা হলো। এই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিল, মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭,৬৪,৪৪৮ জন। ৬০ টি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।
তবে আজই শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে তাদের মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট পাবে না। আগামী ১০মে সকাল ১০ টা থেকে স্কুলগুলিতে মার্কশিট এবং শংসাপত্র প্রদান করা হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছেন যে এই বছর সমস্ত নম্বর অনলাইনে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো নজির নেই। তবে,পরীক্ষা চলাকালীন ৪১জন পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোনসহ ধরা পড়েছিল, যার ফলে তাদের মোবাইল এবং প্রবেশপত্র বা (Admit Card) বাতিল করা হয়েছিল। উপরন্তু, এই বছরের প্রশ্নপত্রে QR কোডও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৭,৬৪,৪৪৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬,৭৯,৭৮৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে, অর্থাৎ পাশের হার ৯০ শতাংশ। ১৫টি জেলা থেকে ৫৮ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দশে রয়েছেন। ৫৮ জনের মধ্যে হুগলি থেকে ১৩ জন, বাঁকুড়া থেকে ৯ জন, দক্ষিণ ৭ জন, কলকাতা থেকে ৫ জন, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, কোচবিহার এবং মালদহ থেকে ৩ জন রয়েছেন। পাশের হারে এগিয়ে ছেলেরা।
প্রথম হয়েছেন— অভীক দাস। আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র। পেয়েছেন ৪৯৬।
দ্বিতীয় হয়েছেন— সৌম্যদীপ সাহা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫।
তৃতীয় হয়েছেন— অভিষেক গুপ্ত। মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়া। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে, প্রতীচি তালুকদার এবং স্নেহা ঘোষ যৌথভাবে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন, তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। প্রতীচি কোচবিহারের সুনীতি একাডেমি থেকে এবং স্নেহা চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের। তবে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হারে এগিয়ে ছেলেরা। ছেলেদের পাশের হার ৯২.৩২ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১৮ শতাংশ।
Leave a Reply