washington sundar

India vs New Zealand: ওয়াশিংটনের ধাক্কায় তাসের ঘরের মতো উড়ে গেল নিউজিল্যান্ডের লেজ! অফস্পিনের ঝড়ে উড়ে গেল নিউজিল্যান্ডের সাত জন

ইউ এন লাইভ নিউজ: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এখন অতীত ল্যান্ড ফলের ধাক্কায় তাসের ঘরের মতো উড়ে গেল নিউজিল্যান্ডের লেজ। কামব্যাক শব্দটাকে “দানা”র মতই করে তুললেন তিনি। আক্ষরিক অর্থেই তার অফস্পিনের ঝড়ে উড়ে গেল নিউজিল্যান্ডের সাত জন ব্যাটসম্যান। অতিথিরা একসময় ছিল ৫ ইউকেটে ২০৪ কিন্তু পরবর্তী পাঁচটি উইকেট উড়ে গেল মাত্র ৫৫ রানে। সাইক্লোন দানার নাম দিয়েছিল কাতার। যার অর্থ মহামূল্যবান মুক্ত। ওয়াশিংটন যেদিন কামব্যাক করলেন সেদিন তিনি ছিলেন মহা মূল্যবান মুক্তর থেকেও বেশি উজ্জ্বল। ওয়াশিংটন সুন্দর নামটাও ব্যতিক্রমী। ওয়াশিংটনের বাবা মনি সুন্দর ছিলেন ক্রিকেট পাগল মানুষ। অত্যন্ত গরীব পরিবারে জন্মেও স্বপ্নকে সার্থক করার সাহস পেয়েছিলেন এক দয়ালু মানুষের সাহায্য পেয়ে। তাঁর নাম পিডি ওয়াশিংটন। মনির খেলা ভালো লাগতো তাঁর। তিনি মনি সুন্দরকে আজীবন সাহায্য করেছেন স্বপ্নের পেছনে ছুটতে। যদিও তামিলনাড়ু একাদশে ঢুকতে শেষপর্যন্ত সফল হননি মনি।

১৯৯৯ সালে মারা যান সেই দয়ালু ব্যক্তিটি, তার কিছুদিনের মধ্যেই ভূমিষ্ট হয় মনির এক পুত্র। ওয়াশিংটনকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি নিজের সন্তানের নাম রাখেন ওয়াশিংটন সুন্দর। প্রথম টেস্টে ব্যাটিং নিয়ে সমস্যার মুখে পরায় টিম ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট ভেবেছিল একজন অলরাউন্ডারের কথা। এমন একজন স্পিনারকে নিতে হবে যার ব্যাটও এখন চলছে সমান তালে। সেই সময় ঠিক হয়, কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে যদি ওয়াশিংটনকে নামানো হয় তাহলে ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হবে। একইসঙ্গে বোলার হিসাবেও যথেষ্ট ভালো ফর্মে আছেন ওয়াশিংটন। বোলার হিসাবে তো জাদু দেখালেন কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসাবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে। ৪৩ মাস পরে জাতীয় দলে ফেরা এই ক্রিকেটারের ঝুলিতে আছে পাঁচটি টেস্টের অভিজ্ঞতা। পাঁচ টেস্টে তার আছে তিনটে হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ৯৬ রান এবং তার রানের গড় ৬৬.২৫।