শিউলি ঘোষ : এই প্রথম ছয়টি এশিয়ান দেশ ৩২টি দলের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এশিয়ার দেশগুলোর পারফরম্যান্স সেভাবে দাগ কাটেনি। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলেছে মাত্র ১৩টি দেশ। এর মধ্যে, কোরিয়া ২০০২সালে সেমিফাইনালে এবং উত্তর কোরিয়া ১৯৬৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল।
বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশগুলোর এটাই সেরা পারফরম্যান্স। কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইরান, সৌদি আরব, উত্তর কোরিয়া এশিয়ার এই ছয়টি দেশ যারা একাধিকবার ফিফা বিশ্বকাপ খেলেছে। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া (১৯৩৮), ইসরাইল (১৯৭০), কুয়েত (১৯৮২), ইরাক (১৯৮৬), সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৯৯০), চীন (২০০২) এবং এখন কাতার (২০২২) একমাত্র এশিয়ান দেশ যারা বিশ্বকাপে খেলেছে। এর মধ্যে ইসরায়েল এখন ইউরোপিয়ান ফুটবলের অংশ। পাশাপাশি ২০০২, ২০১০ এবং ২০১৮ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল জাপান। এবারে জাপান সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামছে। এটি ইরানের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ, তবে এখনও পর্যন্ত এই দলটি দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রবেশ করতে পারেনি। এটি সৌদি আরবের জন্য ষষ্ঠ বিশ্বকাপ, তবে ১৯৯৪ সালে প্রথম প্রবেশের পর থেকে এই দলটি কখনও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারেনি। ফিফার এশিয়ান কনফেডারেশনে যোগদানের পর এটি অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বিশ্বকাপ হবে, তবে প্রথম তিনবার তারা প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এবং ২০০২ সালে, অস্ট্রেলিয়া ওশেনিয়ার অন্তর্গত হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল।