ইউ এন লাইভ নিউজ: ট্রান্সফার ব্যানের কারণে নতুন খেলোয়াড় নেওয়া যায়নি, প্রথমসারির সব খেলোয়াড়েরা আগেই দল ছেড়েছেন, রিজার্ভ দল থেকে তুলে আনা ফুটবলাররাও অনেকে দল ছেড়েছেন, হাতে মাত্র ১৩ জন খেলোয়াড়, তার মধ্যে আবার দু’জন বেতন না পেয়ে একতরফা চুক্তি বাতিল করে ক্লাবের বিরুদ্ধে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে গেছেন। এমতাবস্থায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র তিনদিন আগে ডুরাণ্ড কাপ না খেলার সিদ্ধান্ত নিল হায়দ্রাবাদ এফসি। ডুরাণ্ড কাপের নিয়মানুযায়ী ন্যূনতম ১৮ জনের স্কোয়াড রাখতেই হবে। কিন্তু হায়দ্রাবাদ এফসি-র কাছে মাত্র ১১ জন খেলোয়াড়।
আমন্ত্রণমূলক প্রতিযোগিতা হওয়ায় ডুরাণ্ড কাপের জন্য চুক্তিহীন বা অপেশাদার খেলোয়াড়দের সই করিয়ে দলভুক্ত করতে পারতো নিজামরা, কিন্তু তারা সেই ঝামেলায় না গিয়ে সরাসরি প্রতিযোগিতা থেকে দল তুলে নিল। অনুমতি দেওয়ার কথা ডুরান্ড ফুটবল কমিটির। ৫ আগস্ট অর্থাৎ সোমবার, শিলং-এ, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এবারের ডুরাণ্ড কাপ অভিযান শুরু করার কথা তাদের। কিন্তু হায়দ্রাবাদ এফসি না খেলায় তাদের জায়গায় ডুরাণ্ড কাপে খেলার জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিনবাদে আই লিগে ফিরে আসা ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাব রাজি না হওয়ায় মেঘালয়ার রংডাজিয়েড ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবকে বলা হয়েছে।
ডুরাণ্ড কাপ থেকে হায়দ্রাবাদ নাম তুলে নেওয়ায় দেওয়াল লিখন খুব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত খেলোয়াড় সংকটে আইএসএল থেকেও নাম তুলে নেবে দাক্ষিণাত্যের দলটি। নিজেদের উপর আরোপিত ট্রান্সফার ব্যান তুলতে গেলে খেলোয়াড়, কোচদের বেতনবাবদ ১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে হায়দ্রাবাদ এফসি-কে, সেই সঙ্গে ফিফাকে দিতে হবে জরিমানা। একমাসের মধ্যে এত টাকা পরিশোধ করে নতুনভাবে দল গড়ে আইএসএল খেলতে নেমে পড়া যে কোনো ক্লাবের কাছে একরকম অসম্ভবই বলা যায়। তাই ধরে নেওয়াই যায়, হায়দ্রাবাদ ছাড়াই হচ্ছে এবারের আইএসএল, ক্লাবটি চিরতরে উঠে গেলেও কিছু বলার থাকবে না।
Leave a Reply