নিউজ ডেস্ক : “টিয়ারানী-টিয়ারানী! গায়ে সবুজ শাড়িখানি,রঙ মেখে রাঙা ঠোঁটে দেখ কেমন বাহার ফোটে।” নীল আর সবুজ রঙের মেলবন্ধনটা বেশ নজর কাড়ে। তার থেকেও বড় ব্যাপার হল,এই দুটি রঙই মানুষের চোখকে আরাম দিয়ে থাকে। নীল ও সবুজকে প্রাকৃতিক প্রতীকি রং হিসাবেও বুঝে থাকি আমরা,তাই হয়তো এই রং দুটি মনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। সে নীল আকাশ এবং কচি ঘাসে ভরা মাঠই হক বা পরিষ্কার নীল আকাশে উড়ন্ত কয়েক হাজার ‘টিয়া’-ই হক। খোলা আকাশে এক ঝাঁক টিয়াকে দেখে মনে হল যেন, নীল দিগন্তে এক সবুজের ছোঁয়া।
টিয়াগুলি আকাশে উড়তে উড়তে বাড়ে বাড়েই দিক বদলাছিল,ঠিক যেন সুমুদ্রের ঢেউ । নিচে সোনালী ও সবুজ ধানের ক্ষেত, ওপরে নীলাভ আকাশ। এরই মাঝে মনের আনন্দে হারিয়ে আপন ছন্দে উড়ে যাচ্ছিল এক ঝাঁক টিয়া । এমনই দৃশ্য দেখা গেল বাংলাদেশের চট্টগ্রামের গুমাই বিলে। এই জায়গাটি আসলে শস্যভান্ডার নামে পরিচিত।
তবে কোথায় বলে না,কারোর পৌষ মাস,কারোর সর্বনাশ! টিয়াদের আনন্দই কাল হয়ে এল চাষীদের কপালে । টিয়াদের আগমনে ফসল ক্ষতির আশঙ্কায়, চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টিয়া পাখি একসঙ্গে এসেছে চট্টগ্রামের গুমাই বিল এলাকায়। যেই জমিতে পাখিদের দল নামছে, সেইখানকার জমির ফসলের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে একেবারেই।
আরও পড়ুন : একসুতোয় গাঁথা জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড, রবীন্দ্রনাথের নাইট উপাধি ত্যাগ, কলকাতার বাস সার্ভিস
কৃষকদের থেকে জানাগেছে,ওই এলাকাতে গত কয়েক বছর ধরেই টিয়াদের যাতায়াত চলছে । বিলের পশে কিছু গাছে তারা,তাদের আস্থানা গেড়েছে। চাষীদের দাবি,চট্টগ্রামের গুমাই বিলের ফসল গোটা দেশের মানুষের তিন দিনের অন্ন জোগান দিতে পাড়ে। সেই ক্ষেতের ফসলই যদি এই ভাবে নষ্ট হয়ে তাহলে কী অবস্থা হবে? নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের,এর থেকে মুক্তির উপায়ে খুঁজছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস! সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নগ্ন মানুষ, কিন্তু কেন?
Leave a Reply