নিউজ ডেস্ক: নৈহাটিকাণ্ডে বড় সাফল্য পুলিশের। শিবদাসপুরে গুলি ও বোমাবাজির ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই নাটকীয়ভাবে আটক করা হয়েছে মাস্টারমাইন্ডসহ ৩ জন অভিযুক্তকে। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মূল অভিযুক্তের কাছ থেকে। এই ঘটনার নেপথ্যে মাদক কারবারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে আগেই, কিন্তু এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই মাদক কারবারে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসত জেলা পুলিশের এসডিপিও (হাবরা) রোহিত শেখ ও আমডাঙা থানার আইসি অঞ্জনকুমার দত্তের নেতৃত্বে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হয় আমডাঙার প্রভাকরকাটির বাঁশবাগানে। সেখান থেকেই পুলিশের জালে আটক হয় ৩ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তের নাম আসিফুল রহমান ওরফে বাচ্চা। আটক অভিযুক্তদের বয়স ১৮ বছর। ইতিমধ্যেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় যুক্ত অন্যান্য অভিযুক্তদের সন্ধানে চলছে তদন্ত।
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েকমাস আগে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। ছাড়া পেয়েই মাদক কারবারে হাত পাকিয়েছিল সে। গত কয়েক মাস ধরে তাঁর ঠিকানা ছিল আমডাঙ। এরপরই তাঁর মাদক কারবারের প্রতিবাদ করেন জাকির। তার জেরেই এই হামলা হতে পারে বলে অনুমান। যদিও এই ইস্যুতে আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল রহমান অভিযোগ করেছেন, আমডাঙায় মাদকের কারবারে মদত দেয় পুলিশ। এই মন্তব্যের পরেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে অভিযুক্তের দাদাকে মারধর করা হয়েছিল, সেই ঘটনার বদলা নিতেই পাল্টা হামলা করা হয়েছে বলে অনুমান। শনিবার ভরসন্ধ্যায় রাস্তার আলো নিভিয়ে ৬ জন দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে গিয়ে, জাকিরকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিন রাউন্ড গুলি চালায়, এরপর ছোড়া হয় বোমা। অস্ত্রোপচারের পরেও রবিবার কেজেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর।
আরও পড়ুন : বোর্ডকেই দিতে হবে খেসারত, বয়স বাড়লেও প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ে ডাকার নির্দেশ বিচারপতির
Leave a Reply