ইউ এন লাইভ নিউজ: উইকিপিডিয়া থেকে মুছতে হবে ‘অভয়া’র ছবি এবং নাম। এমনটাই নির্দেশ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়ার ডাক্তারকে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। আর সেই ঘটনার একমাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও উইকিপিডিয়া-য় নির্যাতিতার নাম-ছবি রয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভারতীয় আইনকে লঙ্ঘন করছে। আর এরপরেই অবিলম্বে ‘অভয়া’র ছবি এবং নাম উইকিপিডিয়া থেকে মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিশেষ বেঞ্চে আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানির শুরুতেই একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। যা দেখে এদিন সন্তোষপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এমনকি তদন্ত কার্যত সঠিক পথেই এদিন মন্তব্য করা হয়।
একই সঙ্গে এদিন ফের একবার নির্যাতিতার নাম-ছবি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আইনজীবীরা। আর এরপরেই উইকিপিডিয়া-কে এহেন নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, উইকিপিডিয়া-তে এখনও নির্যাতিতার পরিচয় দেওয়া রয়েছে, যা ভারতীয় আইনকে লঙ্ঘন করছে। এই বিষয়ে আগের নির্দেশকে দ্রুত কার্যকর যাতে উইকিপিডিয়া করে সেই কথাও এদিন বলেও এদিন সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, দ্রুত যাতে পরিচয় সরানো হয় সেই নির্দেশও এদিন দেন প্রধান বিচারপতি।
ধর্ষণ কিংবা সংবেদনশীল কিছু ক্ষেত্রে নির্যাতিতার নাম-ছবি প্রকাশ করা যায় না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ‘অভয়া’র ছবি এবং নাম যাতে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই নির্দেশ দেয়। এমনকি কোথাও যাতে ব্যবহার না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে বলেও সুপ্রিম কোর্ট জানায়। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টও নির্যাতিতার ছবি এবং পরিচয় ব্যবহার নিয়েও কড়া বার্তা দেওয়া হয়। এরপরেও কীভাবে উইকিপিডিয়াতে এই সংক্রান্ত ভিডিও রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আইনজীবী মহলে। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা আশ্বস্ত করতে পারি, প্রকৃত তথ্য খুঁজে বার করার জন্যই সিবিআই তদন্ত করছে৷ সিবিআই-এর দেওয়া তথ্য প্রকাশ করে তদন্তের ক্ষতি করতে চাই না। আগামিদিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে।’ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। আপনাদের তোলা প্রসঙ্গ, আমাদের আলোচনার বিষয়, সব কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই ঘুমোচ্ছে না। তাদের সময় দিতে হবে তদন্ত করতে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই তদন্ত শেষ হবে না। আমরা সবাই চাই প্রকৃত তথ্য সামনে আসুক।’
Leave a Reply