উপনির্বাচনেও অশান্তি, পথ অবরোধ বাম-বিজেপির

নিউজ ডেস্ক: পৌরসভা উপনির্বাচনেও এড়ানো গেল না অশান্তি। পুরনিগমের উপনির্বাচনকে ঘিরে রবিবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসানসোল। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি, সিপিএম। সন্ত্রাসের অভিযোগে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধীরা। অবরুদ্ধ হয় পড়ে যশোর রোড।


আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনেও তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কস্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূলের ভোট লুঠের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। বিজেপি মহিলা কর্মী-সমর্থকদের উপরও হামলা চালানো হয়। যদিও আসানসোল এবং বনগাঁয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে সবই অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দলের কর্মীরা।


বনগাঁ পুরভোটে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট লুঠের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা রামনগরে পথ অবোরোধ করে বামেরা। রি-পোলিংয়ের দাবি তুলেছেন বাম প্রার্থী। ফলে যশোর রোডে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে।


ভোট লুঠ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যে নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। বনগাঁ-আসানসোলে পুরভোট নিয়ে অবিলম্বে কর্মী-সমর্থকেদর প্রশাসনের অফিসে বিক্ষোভে বসার জন্য বলেছেন তিনি।


অন্যদিকে উপনির্বাচনে উত্তেজনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলায় কেবল দুটি ভোট হয়। একটি বিধানসভা অন্যটি লোকসভা নির্বাচন। এই দুটি ইলেকশন বাদে বাকি সবই এখানে সিলেকশন হয়। এখন তৃণমূলকে দেখাতে হবে ওদের পাশে জনগণ রয়েছে। তাই সব ভোটেই এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।