নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল। হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা। আস্থা ভোটে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ করল কংগ্রেস। এই আস্থা ভোটে দুই নির্দল কাউন্সিলর সমর্থন করল কংগ্রেসকে। এমনকী, তলবি সভায় উপস্থিতই ছিল না তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর। আর তার জেরেই এবার তাহেরপুরের পর এবার ঝালদা পুরসভাও চলে গেল রাজ্যের বিরোধীদের দখলে। পুরসভা দখলের পর ঝালদা শহরে কার্যত বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস শিবির। মিছিলে কংগ্রেসের নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামে স্লোগানও দেয় তারা। এদিকে, সোমবার পুরসভার আস্থাভোটে হাজির ছিলেন না শাসকদলের কোনও কাউন্সিলর।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হন। সেই থেকেই ঝালদা পৌরসভার অবস্থা ছিল টলমলে। নির্বাচনের ফলও হয় ত্রিশঙ্কু। ১২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেস পাঁচটি করে আসন পায়। নির্দলের ঝুলিতে যায় ২টি। নির্বাচন জেতার জন্য উভয়ের প্রয়োজন ছিল নির্দলের সমর্থন। নির্দল সমর্থন করে তৃণমূলকে। ২ নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলকে সমর্থন করায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।
এদিকে, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১৩ তারিখে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলার এবং একজন নির্দল কাউন্সিলার । ঠিক তারপরই তৃণমূল ছাড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শীলা চট্টোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু হয়ে যায় তৃণমূল। শিলার দলত্যাগে বদলে যায় সমীকরণ।
আরও পড়ুন: মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় বিধানসভা ওয়াকউট বিজেপি বিধায়কদের
বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোট নিয়ে পুরপ্রধান ১৫ দিনের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না করায় নিয়ম অনুযায়ী উপ-পুরপ্রধানের কাছে আবেদন করা হয়। সেই মতো ৩ নভেম্বর উপ-পুরপ্রধান জানিয়ে দেন, আগামী ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হবে। এই সিদ্ধান্তে হাইকোর্টও সম্মতি জানায়। কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, পুরসভা হাতছাড়া হচ্ছে তৃণমূলের। সোমবার, ২১ নভেম্বর তলবি সভা থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, “ঝালদায় তৃণমূলের পতন হল।”
আরও পড়ুন: জেলে বসে ডিএ প্রতিশ্রুতি অনুব্রতর! পুলিশকে কী বললেন তিনি?
Leave a Reply