রাজ্যের বোমাশিল্পে‌র অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষের সুর তৃণমূল সাংসদের গলায়

নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মুখেই ফের শুরু বোমা বিতর্ক। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বোমা বাঁধা, বোমা বিস্ফোরণ, বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজ্ঞানের অগ্রগতি হলেও বোমার ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি হয়নি’। প্রবীণ নেতার বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। সৌগত রায়ের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা আক্রমণ করতেও পিছপা হয়নি বিরোধীরা।

ভোটের আগে বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে সৌগত রায় জানিয়েছেন, এটা এমন কোনও ব্যাপার নয়। পশ্চিমবঙ্গে কি এর আগে বোমা পড়ত না? বোমা পাওয়া যেত না সিপিএম বা কংগ্রেসের আমলে? আমাদের মুশকিল হল, বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয়েছে। আমরা ষাটের দশকে যে বোমা দেখেছি, সেই একই বোমা রয়ে গিয়েছে। ওই একটি কৌটার মধ্যে নারকেলের দড়ি পেঁচিয়ে পটাশিয়াম ক্লোরেট, পটাশ আর আর্সেনিক ট্রাই সালফাইড দিয়ে বোমা তৈরি হয়। আধুনিক বোমা পর্যন্ত এখানে তৈরি হয়নি। বরাবরই এই ছিল। ৬০-এর দশকে দেখেছি। তার আগেও নিশ্চয়ই ৫০-এর দশকেও ছিল। তাই এইসব বোমায় ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।

দমদমের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, যদি উনি বোমা বিশেষজ্ঞ হন, তাহলে এনআইএ-তে ওনাকে চাকরি দেওয়া উচিত। অবসর তো খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আর টিকিট দেবেন বলে মনে হচ্ছে না। বাংলাতে বিপ্লবীরা বোমা বানিয়ে ইংরেজদের উপরে হামলা করত। আজ সেই বাংলার ঘরে ঘরে বোমা পাওয়া যাচ্ছে, যা ভোট লুঠ করতে, গ্রামের মানুষকে ভয় দেখাতে ব্যবহার হচ্ছে। ওঁর মতো একজন বরিষ্ঠ সাংসদের মুখে কী ভাবে বোমা বানাতে হবে এই শিক্ষা বাংলার যুবক পাচ্ছে। আমার মনে হয় আগামী দিনে দুয়ারে বোমা প্রকল্প তৃণমূল সরকার শুরু করবে।

আরও পড়ুন : তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্টের মোট সম্পত্তির পরিমান জানেন? জানলে চোখ উঠবে কপালে

বিগত কয়েক দশকে রাজ্যে বোমাশিল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রবীণ সাংসদের গলায় অসন্তোষের সুর শোনা যেতেই, কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, সৌগত রায় দেখা যাচ্ছে বোমার ফর্মুলার ব্যাপারে খুব এক্সপার্ট। বোমার ফর্মুলা কী হবে, কী ভাবে হবে, আগে কী হত, এখন কী হচ্ছে, ভবিষ্যতে কী হবে… এই সব জানেন। উনি অধ্যাপক। হাতে হাতে টাকা নেওয়ার জন্য এক্সপার্ট, এটা সবাই জানত। কিন্তু তিনি যে বোমা তৈরির ফর্মুলা দিতেও এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছেন, এটা সবাই হয়ত জানত না।

আরও পড়ুন : গুজরাটের পর হিমাচলেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বিজেপির ইশতেহারে