Abhishek and CV Anand

CV Anand Bose: রাজ্যপালকে জমিদারির অর্থ বোঝাল তৃণমূল, চাপে আছেন বোস

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের ‘জমিদারি শাসন’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে রবিবার রাতে দিল্লি ফিরে পাল্টা বিবৃতিতে রাজ্যপাল বলেছিলেন, “জমির কাছে যাওয়া জমিদারি নয়, বরং জমির কাছে না গিয়ে শহরের আরামে থেকে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করা হল নতুন ঘরানার জমিদারি।” তৃণমূলকে তাদের স্লোগান দিয়েই বিঁধতে চেয়ে বোস দাবি করেছিলেন, “রাজ্যপালের কাছে মাটি হল পবিত্র। ততটাই পবিত্র মানুষ, যাঁরা সেই মাটিতে বসবাস করেন।”

রাজ্যপালের আনা ওই অভিযোগের জবাবে এবার প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করল তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একাধিক তথ্য তুলে ধরে শাসকদলের তরফে রাজ্যপালকে জমিদারি কাকে বলে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যপাল বোসের বিবেক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল। বিবৃতির শুরুতেই রাজ্যপালের মন্তব্যকে ‘কাব্যিক কথা’র সঙ্গে তুলনা করে শাসকদলের দাবি, প্রায় ২ বছর ধরে গ্রামীণ দরিদ্রদের দুর্দশা উপেক্ষা করা হল জমিদারি। দিল্লির ‘আরামদায়ক শহরের প্রাসাদে’ বসে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলা হল জমিদারি। ৩ অক্টোবর দিল্লিতে গ্রামোন্নয়ন দফতরের অফিস থেকে তৃণমূল নেতৃত্বকে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিনের বিবৃতিতে ওই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। শাসকদলের দাবি, অধিকারের দাবিতে জনগণের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকে ধ্বংস করতে বাহিনী নামিয়ে শক্তি প্রয়োগ করা হল জমিদারি।

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অবিজেপি রাজ্যগুলির সরকারকে উৎখাত করতে বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া্র অভিযোগে বারে বারে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিবৃতিতে ওই প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিন্নমতকে দমন করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করা এবং মিথ্যা কথা যাতে ধরা না পড়ে যায় তাই চোখে চোখ রেখে কথা বলার পরিবর্তে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া হল জমিদারি। রাজ্যপালের বিবেক নিয়েও তিনটি প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। রবিবার দিল্লি থেকে রাজ্যপাল দাবি করেছিলেন, বিবেকের তাড়না থেকে তিনি দ্রুত উত্তরবঙ্গে ছুটে গিয়েছেন। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ৯ জনের মৃত্যু কিংবা বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যু, আবাস যোজনায় বঞ্চিত বহু মানুষের বাড়ির অভাবে মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপালের প্রতি শাসকদলের খোঁচা, “এই ঘটনাগুলো যখন ঘটল, তখন কোথায় ছিল আপনার বিবেক?”