বাঙলার ‘মা ক্যান্টিন’-এর দেখানো পথে ত্রিপুরায় ‘অনুকূল চন্দ্র ক্যান্টিন’-এর প্রতিশ্রুতি বিজেপির

নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই আগরতলায় রবীন্দ্র ভবনে বিধানসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন। একাধিক বড় চমক রয়েছে এই ইস্তাহারে। বর্তমান প্রজন্ম ও মহিলা ভোটব্যাঙ্ককে যেমন টার্গেট করা হয়েছে তেমনই  ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেশ কিছু বড় প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তেহারে। এর আগে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে মা ক্যান্টিন চালু করেছিল রাজ্য সরকার। গরীব লোকেদের জন্য ৫ টাকায় পেট ভরা খাবারের ব্যবস্থা ছিল সেখানে। এবার সেই আদলেই ত্রিপুরায় অনুকূল চন্দ্র ক্যান্টিন শুরুর প্রতিশ্রুতি দিল বিজেপি। ৫ টাকায় দিনে তিনবার করে খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত সবই রয়েছে ইস্তেহারে।

এছাড়াও বিজেপির ইস্তাহারে রয়েছে

১) বালিকা সমৃদ্ধি স্কিম – কন্যা সন্তানের জন্মের জন্য আর্থিকভাবে দুর্বলদের প্রতিটি পরিবারকে ৫০,০০০ এর একটি বন্ড।

২) মহিলা কলেজ ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটি প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা।

৩) পিএম উজ্জ্বলা যোজনার সমস্ত সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে ২টি এলপিজি সিলিন্ডার।

৪) সকল যোগ্য ভূমিহীন নাগরিকদের জমির পাট্টা বিতরণ।

৫) ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামীণ এবং শহরের সমস্ত নথিভূক্ত সুবিধাভোগীদের জন্য সুলভ মূল্যের আবাসন তৈরী।

৬) পিডিএস সুবিধাভোগীদের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে চাল ও গম এবং বছরে চারবার ভর্তুকি দরে ভোজ্য তেল সরবরাহ।

৭) ত্রিপুরা জনজাতি বিকাশ যোজনা – তফসিলি উপজাতি পরিবারকে ৫,০০০ টাকা বার্ষিক আর্থিক সহায়তা।

৮) উপজাতীয় সংস্কৃতি ও অধ্যয়নের গবেষণা, প্রচার ও সংরক্ষণের জন্য গন্ডাছড়ায় মহারাজা বীর বিক্রম মাণিক্য উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।

৯) প্রধান সমাজপতিদের সম্মানী ভাতা প্রতি মাসে ২,০০০ থেকে বাড়িয়ে ৫,০০০ টাকা করা হবে।

১০) পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় প্রতি বছর ৬,০০০ থেকে ৮,০০০ আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং ভূমিহীন কিষাণ বিকাশ যোজনার আওতায় সমস্ত ভূমিহীন কৃষকদের প্রতি বছর ৩,০০০ আর্থিক সহায়তা।

১১) মৎস্য সহায়ক যোজনায় সমস্ত জেলেকে ৬,০০০ বার্ষিক আর্থিক সহায়তা।

১২) ২০২৪ সালের মধ্যে জল জীবন মিশনের অধীনে সমস্ত পরিবারে নল বাহিত জলের পরিষেবা সরবরাহ।