বাজেট কম? তাহলে স্বপরিবারে ঘুরে আসতে পারেন টুমলিং। হিমালয়ের কোলে সান্দাকফু যাওয়ার পথে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ছোট্ট জনপদ টুমলিং। পূর্ব নেপালের ইলাম জেলার এই পাহাড়ি গ্রাম হাতছানি দিয়ে ডাকে ভ্রমণপিপাসুদের। এখানে পর্যটনশিল্পকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে টুমলিংয়ের বসতি। এখানে হাতেগোনা ২০- ২৫টা বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে ছ-সাতটা হোমস্টে রয়েছে। বাদ বাকি বেশির ভাগই কাঠের ছোট ছোট বাড়ি, বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও খুব বেশি নয়।
চারিদিকে রয়েছে রডোডেনড্রনের বাগান। দিগন্ত বিস্তৃত উপত্যকায় রাতের আঁধারে তারার মতো জ্বলে থাকা নেপালি জনপদগুলি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। হোমস্টের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দু-চোখ ভরে দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অসীম সৌন্দর্য। পড়ন্ত বিকেলের সূর্যের আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘার শায়িত বুদ্ধের ঝলক দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে। সঙ্গে বাড়তি পাওনা একই ফ্রেমে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট। বিকেলের পড়ে আসা আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে এভারেস্ট ছুঁয়ে রাতের আঁধার নীচের জঙ্গলে ঘনিয়ে আসে। ঠান্ডা বাতাসের শিরশিরানি গায়ে মেখে গরম গরম চায়ে চুমুক দিতে বেশ লাগবে। প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য এমন পরিবেশ পেলে তো আর কোনও কথাই নেই।
টুমলিং-এর একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হল, এখানে জাতীয় সড়কটি বাদে সম্পূর্ণ বসতিটিই নেপালের অন্তর্গত। টুমলিংয়ে ২ রাত কাটিয়ে কাছেই সিঙ্গলীলা উদ্যান, মানেভঞ্জন, মেঘমা, টংলু ভিউ পয়েন্ট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে গাড়ি বুক করে চলে যেতে পারেন মানেভঞ্জন৷ সময় লাগবে ঘন্টা চারেক। সেখান থেকে একমাত্র ওল্ড ল্যান্ড রোভারে চেপে টুমলিং যেতে সময় লাগবে ঘণ্টা খানেক।
Leave a Reply