নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার ৩৭০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হয়েছে টুইন টাওয়ার। অ্যাপেক্স এবং সিয়ান – নয়ডা কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত জমিতে সেক্টর ৯৩এ এমারেল্ড কোর্ট প্রকল্পের এক অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল এই টাওয়ার।
১০০ মিটারের বেশি উচ্চতার এই দুই বিল্ডিংকে ধ্বংসাবশেষে পরিণত করা হয়েছিল মাত্র ৯ সেকেন্ডে। এই টাওয়ার ধ্বংসের জন্য এজেন্সিগুলোকে ধ্বংসের খরচ দেওয়া হয়েছিল ১৭.৫ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের নির্মিত টুইন টাওয়ারের জমিতে এবার কি হতে চলেছে? এ বিষয়ে সুপারটেক লিমিটেড, যে সংস্থাটি এই টুইন টাওয়ার তৈরি করেছিল, তাঁরা জানিয়েছেন, ওই টুইন টাওয়ারের জায়গাতেই নতুন করে আবাসন তৈরি করা হবে। নয়ডা কর্তৃপক্ষ ও এমারেল্ড কোর্টের বাসিন্দাদের থেকে অনুমতি নেওয়ার পরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সুপারটেক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর কে অরোরা আরও জানিয়েছেন, টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার পর ৮০,০০০ মেট্রিক টন ধ্বংসাবশেষের স্তূপ তৈরি হয়, যার মধ্যে ৫৫,০০০ মেট্রিক টন বেসমেন্ট পুনঃনির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে।
বাকি ২৫,০০০ মেট্রিক টন ধ্বংসাবশেষ পুরোপুরি সাফ করতে সময় লেগে যাবে আরও ৩ মাস। এই বিশাল ধ্বংসাবশেষ পরিবহনে সাহায্য করবে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জেট ডিমলেশন কর্মকর্তারা। তারপরেই সেখানে নতুন আবাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সমস্ত পরিকল্পনা ও আলোচনা শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply