Uber: ১৫ মিনিটের উবর ভাড়া ৩২ লক্ষ টাকা! চোখ কপালে প্যাসেঞ্জারের

নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। ওলা কিম্বা উবর। সময়-অসময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে কম বেশি আমরা সবাই নির্ভরশীল এই অ্যাপ ক্যাবে। পুজোর মরশুম হোক বা যে কোনো দিন সামান্য দূরে যেতেও দিতে হচ্ছে অনেক টাকার ভাড়া। তবে সম্প্রতি এই অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া নিয়ে নজর কেড়েছে এক বিরল ঘটনা। সাড়ে ছয় কিলোমিটার চলেছে উবর। ভাড়া হয়েছে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা (৩৫,৪২৭.৯৭ পাউন্ড) ! চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মত এই ঘটনা ঘটেছে গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টারের ২২ বছর বয়সী অলিভার কাপলান নামের এক ছেলের সঙ্গে।

গ্রেটার ম্যানচেস্টারের হাইউে থেকে অ্যাস্টন আন্ডার লেন যাবেন বলে উবের বুক করেছিলেন। ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। গন্তব্য পৌঁছতে হলে উবেরকে যেতে হত ঠিক ৬.৪ কিলোমিটার। অলিভারের দাবি, উবর বুক করার সময় দেখিয়েছিল ভাড়া ১০ ইউরো। সময় মতো গাড়ি এসে তুলেও নেয় তাঁকে। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে দেয় গন্তব্যে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় পরের দিন সকালে। ঘুম থেকে উঠে অলিভার দেখেন, ক্যাব সংস্থা তাকে এক বার্তা পাঠিয়েছে যেখানে লেখা আছে এখনও ৩২ লক্ষ টাকার বেশি ভাড়া মেটাতে হবে তাঁকে। এবং ক্রেডিট কার্ড থেকে সেই টাকা কেটে নেওয়া হবে।

তখনই, ক্যাব সংস্থায় ফোন করেন অলিভার। খুলে বলেন গোটা ঘটনা। কাস্টমার সার্ভিসের তরফে জানানো হয়, তাঁর ড্রপ লোকেশন ভুলবশত অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের অ্যাশটন হয়ে যায়। হাইড থেকে যার দূরত্ব ১৬ হাজার কিলোমিটার। অলিভারকে তখন কাস্টমার সার্ভিসের প্রতিনিধি ট্রিপের তথ্য খতিয়ে দেখে অলিভারের থেকে ১০.৭৩ পাউন্ড ভাড়া নিয়েছে। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার পাউন্ড কেটে নেওয়া হয়নি।

এই ঘটনা নিয়ে অলিভার বলেন, “আমি প্রত্যেকদিন অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় উবর বুক করি, সাধারণভাবে কোনও অসুবিধা হয়না আমার। ড্রাইভার এসেছিলেন এবং আমাকে আমার গন্তব্যে নিয়ে গিয়েছিলেন। গন্তব্যে পৌঁছতে ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল। সাধারণভাবে আমার ডেবিট কার্ড থেকে ১০ থেকে ১১ পাউন্ড চার্জ করার কথা। আমি তখন বিষয়টি লক্ষ্য করিনি। বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপানের পর আমি বাড়ি ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরের দিক সকাল থেকে উঠে দেখি ৩৫ হাজার পাউন্ড কেটে নেওয়ার চেষ্টা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: জঙ্গিদের সঙ্গে মরণপন লড়াই, গুরুতর আহত আর্মি অ্যাসল্ট ডগ,জুম

অলিভার আরো বলেন,“অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজার পাউন্ড ছিল না। যদি আমার অ্যাকাউন্টে এত টাকা থাকত, তখন হয়তো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিত এবং আমি অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে পড়তাম।”

আরও পড়ুন: বারো বছর আগের সেই ঘুষের কেলেঙ্কারির কর্তারা আজ কে কোথায় ?