ইউ এন লাইভ নিউজ: ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। ইংরেজদের কাছে পরাধীন থাকা অবস্থাতেও দেশ ভাগের জন্য ধর্ম নিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে গেছে ইংরেজরা। স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও সেই ধর্ম নিয়েই চলছে রাজনীতি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে এবং তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভোট পরবর্তী হিংসায় সব থেকে বেশি উত্তেজনা দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গে। এমতাবস্থায় ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। ৩ জুলাই বুধবার এক জনসভায় ফিরহাদ হাকিম তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্যে রাখে। তার মন্তব্যে তিনি বলেন,”তারা দুর্ভাগ্য করে জন্মেছেন, যারা মুসলিম ধর্মে জন্মগ্রহণ করেননি, তাদের উচিত এই ধর্মকে আপন করে নেওয়া।” তাঁর এই মন্তব্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।
বিরোধী সব দলই তৃণমূলকে সংখ্যা লঘু দল বলে কটাক্ষ করে। এই পরিস্থিতিতেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন ফিরহাদ। বিরোধী দলের প্রার্থীরা তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। ফিরহাদ ওই সভায় গিয়ে বলেন, “তারা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে, যারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মায়নি, তাদের ইসলামের দাওয়াত দিয়ে, তাদের মধ্যে ঈমান নিয়ে আসলে, আল্লাকে খুশি করা হবে। ইসলাম ধর্মকে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এখানে যখন সবাই একসাথে বসে আছেন, হাজার-হাজার লোক একসাথে বসে আছেন তখন এটাই মনে হওয়া দরকার ইসলামের ঐক্যর এখনও একটা জায়গায় আছে, যেখানে মনে হয় আমাদের কেউ দাবাতে পারবে না।” অন্যদিকে তিনি আরও বলেন,”যদি আমরা বড়ো কোন অন্যায় না করি, তাহলে ইসলাম ধর্মে জন্মানো মানেই জান্নাতে পৌঁছে যেতে পারব।”
অন্যদিকে, ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিরোধী পক্ষ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। কোথাওবা তাঁকে কটাক্ষ করা হয়েছে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার জন্য, আবার কোথাও বা কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় মানুষদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে খেলার জন্য। ভারত একটি ‘ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সার্বভৌম’ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ফিরহাদ হাকিম কিভাবে অন্য ধর্মের মানুষদের প্রভাবিত করছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য? তা নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। সংখ্যা লুঘু ধর্ম নিয়েই মেতে থাকে জোড়াফুল শিবির, সংখ্যা লঘু ধর্মের মানুষরাই হল তৃণমূল শিবিরের ‘ভোট ব্যাঙ্ক’ এই বলেই সম্বোধন করে বিরোধীরা। তবে কি এবার ফিরহাদ হাকিম বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে এই উত্তক্ত মন্তব্য করে? তবে কি কেবল সংখ্যা লঘু ভোট পাওয়ার কারণেই এই মন্তব্য? এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।