নিউজ ডেস্ক: সায়েন্স ফিকশনের ‘ফিকশন’ হয়তো সম্পূর্ণ ভাবে অলীক নয়। এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্যামুয়েল বেলি ও অভি লোয়েবের গবেষকদল ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আবিষ্কার করেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। তাঁরা বলেন ২০১৪ সালে জানুয়ারি মাসে অন্য সৌরজগৎ থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা মহাজাগতিক বস্তুটি আসলে ধূমকেতু বা গ্রহাণু (অ্যাস্টারয়েড) নয়। সেটা আসলে ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনও মহাকাশযান! সেই মহাকাশযানের নাম ‘ওমুয়ামুয়া’। এই ওমুয়ামুয়া মহাকাশ যান এবার ধীরে ধীরে ফিরে যাচ্ছে নিজেদের সৌরজগতে।
স্পেস এক্সপ্লোরডের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ওমুয়ামুয়া বর্তমানে প্লুটোর ঠিক পাশ দিয়ে অতিক্রম করছে এবং বিজ্ঞানীদের অনুমান করা এই মহাকাশযানটি প্রতি ২৪ ঘন্টায় ২,৮৩২,০০০ মাইল (৪,৫৫৭,৬৬২ কিমি) দূরত্ব অতিক্রম করছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এই মহাজাগতিক বস্তু আমাদের সৌরজগৎ থেকে বেরিয়ে যাবে।
কী এই ওমুয়ামুয়া?
২০১৭ সালে অক্টোবরে হাওয়াই দ্বীপের হালিকালা অবজারভেটরির টেলিস্কোপে জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট ভারিকের চোখে প্রথম ধরা পড়ে এই মহাজাগতিক বস্তু, ওমুয়ামুয়া। এরপরই শোরগোল পড়ে যায় বিজ্ঞানী মহলে। এর নাম রাখা হয় ওমুয়ামুয়া’। হাওয়াই দ্বীপের ভাষায় যার অর্থ, বহু দূর অতীত থেকে আসা কোনও বার্তাবাহক বা মেসেঞ্জার। ২৩০ মিটার লম্বা, ৪০ মিটার চওড়া কালচে-লাল রংয়েরসিগার’-এর মতো দেখতে `ওমুয়ামুয়া’র বয়স, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমানে, প্রায় কয়েকশো কোটি বছর। এক মিলিমিটার পুরু, কার্বনের কোনও যৌগে পুরোপুরি মোড়া।
কেন বিজ্ঞানীদের চোখ কপালে?
বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, প্রত্যেকটি ধূমকেতু বা গ্রহাণুর একটি পরিবর্তিত বা অপরিবর্তিত কক্ষপথ থাকে। কিন্তু, এই ওমুয়ামুয়ার কোনো নির্দিষ্টি কক্ষপথ নেই। সূর্য বা কোনও নক্ষত্রের কাছে এলে যেমন তার জোরালো টানে ধূমকেতুর বরফ বা গ্যাসের অংশগুলি ছিটকে বেরিয়ে আসে,`ওমুয়ামুয়া’-র ক্ষেত্রে তা হয় না।
Leave a Reply