ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: ফের একবার ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ল সন্দেশখালিতে। শনিবার গ্রেপ্তার হয়ে সোমেই জামিনে মুক্ত হলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার। তাঁকে মিথ্যে মামলার ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২ হাজার টাকার ব্যাক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে উত্তমকে। জামিন পেলেন বিজেপি নেতা বিকাশ সিং-ও। তবে এদিনও জামিন পেলেন না নিরাপদ সর্দার। উত্তম সর্দার জামিন পেতেই আদালত চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। উত্তম সর্দারের জামিন পাওয়ার ঘটনা ন্যাক্কারজনক বলে দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষেরা।
উত্তম সর্দার সন্দেশখালি এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই উত্তম সর্দার দলের অনুগত কর্মী। পরবর্তী সময়ে তিনি নেতা হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, দলের পাশাপাশি উত্তমবাবুর মাছের ভেড়ির ব্যবসা রয়েছে। এলাকায় তাঁর দারুণ প্রতিপত্তি। বিশেষত শেখ শাহজাহানের সঙ্গে দারুণ সখ্য উত্তম সর্দারের। গত ৫ বছরে শাহজাহানের যে কটি জনসভা হয়েছে, তার সবকটিরই আয়োজক ছিলেন উত্তম। স্থানীয়দের অভিযোগ, শাহজাহানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়েই এলাকায় তাণ্ডব চালাতেন এই উত্তম। গত কয়েকদিনে এই উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা।
সন্দেশখালির বাসিন্দারা উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে একের পর এক সাংঘাতিক অভিযোগ তোলে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তৃণমূলের তরফে জেলা পরিষদের সদস্য উত্তমকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ডও করা হয়। সেদিনই সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। একইসঙ্গে সেদিন গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। কিন্তু এই গ্রেফতারির মেয়াদ ছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শনিবার রাতে গ্রেফতার, রবিবার আদালতে পেশ। কিন্তু পুলিশ এই গ্রেফতারি সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা না দেওয়ায় সোমবার শুনানির দিন ধার্য হয়। আজও সেই একই ঘটনা ঘটে আদালতে। যার জেরে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়। পরে এই মামলারই শুনানি হয় এবং দু’জন জামিন পেলেও নিরাপদ জামিন পেলেন না।
Leave a Reply