নিউজ ডেস্ক: গুরু গ্রন্থ সাহেব নিয়ে রয়েছে অজানা নানা কথা। গ্রন্থ সাহেব লিখেছেন কে, আসল ধর্মগ্রন্থ আছে কোথায়- এসব নিয়ে যেমন রয়েছে মতভেদ, তেমনই রয়েছে নানা অজানা তথ্য। বিশ্বের মহান গ্রন্থ গুলির মধ্যে গুরু গ্রন্থ সাহেব অনন্য। এটি গুরু বাণী হিসেবে পরিচিত। গ্রন্থ সাহেবে রয়েছে মোট ১ হাজার ৪৩০ টি পৃষ্ঠা। যার প্রতি পৃষ্ঠার প্রতি লাইনে রয়েছে গুরুর উপদেশ। আসল গ্রন্থ সাহেব কোথায় আছে, তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি গ্রাম, কর্তারপুর।
গুরু গ্রন্থ সাহেব বর্তমানে কর্তারপুর গ্রামের সোধি পরিবারের দখলে রয়েছে। পবিত্র ধর্মগ্রন্থটি রাখা আছে গুরুদ্বার থাম সাহেবে। যে সোধি পরিবারের দখলে ধর্মগ্রন্থ রয়েছে, ওই সোধিরা শিখদের পঞ্চম গুরু, গুরু অর্জন দেবের বংশধর। গুরু অর্জন দেবের দ্বারাই এই কর্তারপুর গ্রাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৫৯৮ সালে। গুরু গ্রন্থ সাহেবের মূল সংকলন, ১৬০৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর স্থাপন করা হয়েছিল স্বর্ণমন্দিরে।
এই আদি গ্রন্থ নিয়ে রয়েছে ইতিহাস। প্রথমত, শিখদের প্রধান এবং প্রথম গুরু, গুরু নানক থেকে শুরু করে, পরবর্তী সব গুরুর বাণীর সংমিশ্রনে, পঞ্চম গুরু অর্জন দেব সংকলন করেছিলেন এই আদি গ্রন্থ। আসল বইটি প্রথমে গুরু হরগোবিন্দ তাঁর বাড়িতে রেখেছিলেন। তাঁর নাতি, ধীর মাল এটি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন গুরু হরগোবিন্দের কাছ থেকে। এই ঘটনার প্রায় ৩০ বছর পর, নবম গুরু তেগ বাহাদুরের অনুসারীরা এই গ্রন্থ পুনরুদ্ধার করেন ধীর মালের কাছ থেকে। ১৮৫০ সালে, পঞ্জাব অধিগ্রহনের পর, কর্তারপুরের সোধি সাধু সিংয়ের আবেদনে, ওই গ্রন্থ সাহেব পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় কর্তারপুরের সোধি পরিবারের কাছে। গুরুদ্বার থাম সাহেবে, শিখদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহেব স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায়।
সেই থেকেই প্রতি বছর এই গুরু গ্রন্থ সাহেব নিয়ে শুরু হয় এক রীতি। ধীর মালের বংশধরদের একবার দর্শনের জন্য, প্রতি বছর বৈশাখীর দিনে গুরু গ্রন্থ সাহেব দেখানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ২০২০র মার্চের পর এই প্রথম, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা শূন্য
Leave a Reply