নিউজ ডেস্ক: মে মাস থেকেই সাইক্লোন তৈরির পরিবেশ তৈরি হয় বঙ্গোপসাগরে। এর আগে ইয়াস, আমফানের তাণ্ডব দেখেছে বাংলা। আবারও কি তেমনই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে? সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে জট পাকাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের দাপটে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। ওড়িশার পাশাপাশি বাংলার উপরেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানা গেছে। তাতে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে ওড়িশা সরকার। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে মুষলধারে ঝড়বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জোড়া ঘূর্ণাবর্তের রেশ পড়বে বাংলায়। বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। বীরভূম মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে কালবৈশাখী দাপট দেখাতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। একইসঙ্গে এই জেলাগুলিতে রয়েছে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা। পূর্ব বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। এর জেরেই বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সমতলের পাশাপাশি ভিজবে পাহাড়ও।
গত বছর মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে যে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল তার নাম ছিল আমফান, সেটি ছিল সুপার সাইক্লোন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত কয়েক দশকের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে, বঙ্গোপাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধির গড় হার অনেকটাই বেশি। গত এক দশকে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা বেঁধেছে। তার জন্য সাগরজলের উষ্ণতাই দায়ী। গত তিন বছরে গ্রীষ্মে তিনটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে ২০২০ সালের আমফান এবং ২০২১ সালে ইয়াস দক্ষিণবঙ্গেই আছড়ে পড়েছিল।
এপ্রিল-মে মাসে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব উপকূলে যে-ধরনের বায়ুপ্রবাহ চলে, তাতে ঘূর্ণিঝড় বাংলায় বা কাছেপিঠে আছড়ে পড়তে দেখা যায়। বর্ষার পরে আবার ঠান্ডা, শুকনো বায়ুর প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হতেও দেখা গিয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, মে মাসে কোনও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সে পশ্চিম বঙ্গে হানা দিতে পারে।
Leave a Reply