বিহারের একটি ছোট্ট গ্রাম শিমুলতলা। কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার। শহরের কোলাহল থেকে থেকে নিভৃতে সময় কাটানোর এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হয় না। আগে একানে সারি সারি শিমুল গাছ ছিল। এখন অবশ্য সেই শিমুলগাছের সারি আর নেই। তবে শিমুলতলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিভোর হতে হয়। ছোটখাটো অজস্র জঙ্গল, ইউক্যালিপটাসের সারি, ছোট ছোট পাহাড় আর সবুজের সমারোহে মন ভাল হতে বাধ্য।
পাহাড়, টিলা, শাল, শিমুল, মহুয়ার অরণ্যে ঘেরা শিমুলতলা যেন শান্তির পীঠস্থান। লাল মোরামের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে সন্ধান পাবেন এক অসীম সৌন্দর্যের। যে সৌন্দর্য চোখে লেগে থাকবে আজীবন। শিমুলতলার মূল আকর্ষণ হল লাট্টু পাহাড়। নলডাঙার রাজবাড়িকে পাশে রেখে মাঠ পেরিয়ে উঠতে হবে এই পাহাড়ে। গাছপালা দিয়ে ঘেরা এই পাহাড়ের মাথায় চড়লে দেখতে পাওয়া যাবে আদিবাসী দেবতাদের স্থান।
শিমুলতলার রেললাইন পেরিয়ে ৬ কিমি দূরে পাহাড় আর অরণ্যের মাঝে মনোরম পরিবেশে হলদিঝোরাও দেখে আসতে পারেন। যাওয়ার পথে পড়বে টেলবা নদীর ধারে সিকেটিয়া আশ্রম, ধীরহারা ঝোরা, যা দেখে মনের মধ্যে উথালপাথাল করতে পারে। শিমুলতলার আবহাওয়া সারা বছরই মনোরম থাকে। বসন্তে তা যেন আরও স্বস্তিদায়ক হয়।
শিমুলতলার পাশেই রয়েছে বৈদ্যনাথ মন্দির, ত্রিকূট পাহাড়, নওলাখা মন্দির, তপোবন, নবদুর্গা মন্দির, ক্লক টাওয়ার-এর মতো অনেক দর্শনীয় স্থান। হাওড়া স্টেশন থেকে রাতের ট্রেন মোকামা প্যাসেঞ্জারে করে যেতে পারেন শিমুলতলা। এ ছাড়া হাওড়া থেকে দিল্লি জনতা এক্সপ্রেসেও যেতে পারেন।
Leave a Reply