নিউজ ডেস্ক : ডিএ মামলায় নয়া মোড়! পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য রাজ্য সরকারকে তিনমাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
এই মামলায় রিভিউ পিটিশন ফাইলও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনলাইনে ফাইলিং-এর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। যদিও কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং অন্যান্য মামলাকারীদের এখনও কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। যদিও রিভিউ পিটিশনের নম্বর এলেই মামলাকারীরা নোটিশ পেয়ে যাবেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুলাই, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল ডিএ নিয়ে দেওয়া রায় বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে ডিএ নির্ধারণ করতে হবে রাজ্যকে।
তিন মাসের মধ্যে তা নির্ধারণ করে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল রায়ে। পরে হাইকোর্ট সেই রায় বহাল রাখে। ২০ মে বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা তিন মাস। সেই মতো তিন মাসের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২০ অগস্ট।
২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে প্রায় ১৩ বছর ধরে বাকি এই মহার্ঘ ভাতা। এরিয়ার সহ সেই ডিএ মেটানোর দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় কর্মীদের অনুপাতে পিছিয়ে থাকার কারণেই আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে সরব হয়েছিল সরকারি কর্মীরা।
রাজ্য সরকার ১৯ অগস্টের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্ত না-জানালে কর্মী সংগঠনগুলি আদালত অবমাননার মামলা করার পথে হাঁটতে পারে। বকেয়া ৩১% ডিএ মেটাতে সরকারকে খরচ করতে হবে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে রাজ্যের পক্ষে তা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করেন আর্থিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে কয়েকটি সম্ভাব্য বিকল্প রাস্তা রয়েছে।
১) হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কনফেডারেশন আগেই সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করে রেখেছে।
২) কিস্তিতে ডিএ মেটানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে।
৩) প্রাথমিকভাবে অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া। তারপর, কর্মরতদের প্রাপ্য অর্থ দেওয়া যেতে পারে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে।
রাজ্য সরকার ঠিক কোন পথটি ধরবে, তা এখনও বিবেচনাধীন। অন্য কোনও রাস্তার কথা ভাবা হচ্ছে কি না, সেই বিষয়েও রয়েছে জল্পনা।
Leave a Reply