ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবি জানিয়ে অভিনব আন্দোলন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। ধর্মঘট, পেনডাউন, মিটিং-মিছিল পেরিয়ে আন্দোলনের বার্তা এল এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে। হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ‘বঞ্চিত’ সরকারি কর্মচারীদের আটজনের প্রতিনিধি দল পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে। সেখান থেকেই আন্দোলনের সুর চড়াচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে অভিনব প্রতিবাদ দেখা গেল সরকারি কর্মীদের।
সুদূর শ্বেতশুভ্র পর্বতের কোল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষক, কর্মচারী, ডাক্তার, নার্সদের প্রতি সীমাহীন বঞ্চনার বিরুদ্ধেই তাঁরা এভারেস্টের বেস ক্যাম্প থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে রাস্তার ধারে বসে থাকে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের হয়েও সুর চড়ালেন তাঁরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, “রাজ্যের সর্বত্র ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চলছে। আর সেই আন্দোলন আগামীদিনে আরও জোরাল হবে। যতদিন পর্যন্ত না প্রাপ্য আদায় হচ্ছে তাঁদের, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।।”
প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে এই অভিনব প্রতিবাদের পন্থা নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের সঙ্গেও। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের সরকারি কর্মচারী সহকর্মীরা এই প্রতিবাদ করেছেন। এটা শুধু এভারেস্ট বেস ক্যাম্পেই নয়, এর আগে অরুণাচল প্রদেশে, লাদাখে গিয়েও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছিলেন। বঞ্চনা যখন জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে, তখন বঞ্চিত মানুষ যেখানেই যান, সেখানেই নিজের প্রতিবাদ ধ্বনিত করেন। এটাও সেরকমই।”
AICPI অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আইনি লড়াই লড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (SAT)-এ জয় হয় তাঁদের। স্যাটের রায়ের পর মামলার জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মিটিয়ে ফেলতে হবে।
এরপর সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের দায়ের করা SLP-র প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালতে চলছে মামলাটি।
Leave a Reply