Saugata-Suvendu

Loksabha Election 2024: “বাঁশ দিয়ে কি খোঁচাচ্ছেন উনিই জানেন!” সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

ইউ এন লাইভ নিউজ: ‘রেমাল’-র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড গোটা বাংলা। রেমাল পরবর্তী অবস্থায় বিপর্যস্ত রাজ্য। কলকাতার অবস্থাও সেই গতানুগতিক। একটানা বৃষ্টিতে জলে জমে সমস্যা। আর কয়েকটি দিন পরেই সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন বাকি। বাংলার ৯ কেন্দ্রে হবে ভোট গ্রহন। তারই মধ্যে রয়েছে অন্যতম হেভিওয়েট লোকসভা কেন্দ্র দমদম। আর বৃষ্টি হলেই দমদমে জমা জলে যন্ত্রণা! এবারও তার অন্যথা হল না।

ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী অবস্থায় রাস্তা থেকে জমা জল সরাতে স্বয়ং পথে নামলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সোমবার সকালের দিকে দমদম একটার ড্রেনের সামনে জমে থাকা প্ল্যাস্টিক সরাতে বাঁশ হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন সৌগত রায়। যা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। সৌগত রায়ের বাঁশ হাতে রাস্তা পরিষ্কারে ভিডিও মুহুর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ছড়াতেই দমদমের তৃণমূল প্রার্থীকে নিশানা করতে ছাড়লেন না শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন বিকেলের দিকে সৌগত রায়ের সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে শুভেন্দু খোঁচা দিয়ে লেখেন, ”১৫ বছর ধরে সাংসদ। ১৫ বছর ধরে পৌরসভার ক্ষমতায়। ১৩ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায়। কিন্তু নির্বাচনের আগে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে জল জমে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে কি খোঁচাচ্ছেন উনিই জানেন! ভাব খানা এমন যেন, এই ছ মাস আগে তৃণমূল কংগ্রেস নামক এক দলের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে আর ইনি এই প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমেছেন! তা বাঁশটা কিন্তু দমদমের ভোটারদের চিনিয়ে দিলেন, পয়লা জুন আপনার ভাগ্যে তোলা থাকলো।”

রেমালের কারণে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে মহানগরীতে। শহরের অধিকাংশ জায়গায় জল জমে জনজীবন বিপর্যস্ত। দমদম পৌরসভা তার মধ্যে অন্যতম। এমনিতেই নিচু এলাকা হিসাবে পরিচিত দমদম। সোমবার দলের সঙ্গীসাথীদের নিয়ে রাস্তায় পরিদর্শনে যান সৌগত রায়। তিনি একটি বাঁশ নিয়ে নর্দমার মুখে জমে থাকা প্ল্যাস্টিক সরাতে থাকেন। দলের নেতা কর্মীরা তাঁর মাথায় ছাতা ধরে থাকে। যা দেখে রীতিমত কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আগামী ১ জুন শেষ দফার অন্যতম দমদম লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। এই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী সৌগত রায়। প্রতিপক্ষে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী ও বিজেপির শিলভদ্র দত্ত।