ইউ এন লাইভ নিউজ: ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। এখনও তিন দফার নির্বাচন বাকি। তুমুল ব্যস্ততা নেতা থেকে কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূল নেত্রী এবং তার কর্মী জেলায় জেলায় ঘুরে ভোট ভোটের প্রচার সারছেন। বুধবার আরমবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগদির সর্মথনে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরুপা পোদ্দার-কে সরিয়ে মিতালিকে টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এদিন মঞ্চ থেকে বিজেপি-সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দলের কেউ যদি খারাপ কাজের সাথে যুক্ত থাকেন তাদের থাপ্পড় মেরে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের সভা থেকে সিপিএমকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না তিনি। তাঁর কথায়,”সিপিএমের হার্মাদেরাই বর্তমানে বিজেপির হার্মাদে পরিণত হয়েছে। আমার থেকে ভালো আর কে চেনে ওঁদের? গড়বেতা থেকে আরামবাগ অবধি মাটির নীচে সুড়ঙ্গ কেটে রেখেছিল, মানুষকে খুন করে ফেলে দেওয়া হত। আর কখনো খুঁজে পাওয়া যেত না।”
এরপর এদিনের মঞ্চ থেকে যে বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে তা হল তিনি জানিয়েছেন, নিজের দলের নেতা-কর্মীরা যদি বদমাইশি করেন তাদের থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দিতে পিছোপা হবেন না। কিন্তু বিজেপি সেই কাজটা কোনওদিন করবে না বলে তিনি মনে করেন। সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপিতে,তারা টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন বলেও অভিযোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন,”আমি ওনার নাম দিয়েছি প্রচারমন্ত্রী। সকালে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়া অবধি খালি নিজের প্রচার করেন ৷ সব জায়গাতে ওঁনার ছবি। উনি নিজেকে নিয়ে প্রচার করেতে ভালোবাসেন।”
পাশাপাশি এদিনের মঞ্চ থেকে গতকালের এসএসসি মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায় নিয়ে বলেন, ”বিজেপি ‘চাকরিখেকো বাঘ’, ২৬,০০০ ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল। আমি সেদিন থেকে তাদের পাশে আছি, আজও বলছি চিন্তা করবেন না। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে থাকলেও মনটা ছিল সুপ্রিমকোর্টে। উদ্বিগ্ন ছিলাম রায় শোনার পর থেকে আমি তৃপ্ত। এরা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়, এরা মানুষ নয়, দৈত্য।” এই বলে কড়া ভাষায় গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান।
সন্দেশখালি ‘স্টিং অপারেশন ‘ নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন, ”সন্দেশখালিতেও কেমন টাকার খেলা চলেছে আপনারা দেখেছেন তো? মা- বোনেদের টাকা দিয়ে কি সেই সম্মান ফেরানো যাবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। ভোটের মাধ্যমে সন্দেশখালির বদলা চাই আমরা। আশা রাখি বদল হবেই!”
Leave a Reply