ইউ এন লাইভ নিউজ: ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিুসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। তারপর থেকে হিংসা পুরোপুরি থামেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে।
যা নিয়ে ঢাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখিয়েছে সেখানকার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস সোমবার হিন্দু ছাত্র ও যুবদের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ‘আলোচনার উদ্দেশ্য হল বর্তমান সংকটের সমাধান এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মনোনিবেশ করা’।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসের সামনে তুলে ধরতে বেশ কয়েকদফা দাবিপত্র তৈরি করেছে হিন্দু ছাত্র সংগঠন। এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, হিন্দুদের ওপরে হামলার মামলাগুলির দ্রুত বিচার করতে ট্রাইবুনাল তৈরি, জরুরি ভিত্তিতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, পালি শিক্ষা বোর্ডের আধুনিকীকরণ, শারদীয়া দুর্গাপুজোর সময় ছুটি এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক তৈরি করা।
বাংলারদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে সেখানকার ৫২ টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে অন্তত দুশোর ওপরে হামলা সংগঠিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ নেওয়ার পরে রবিবার প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের কিছু জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। তবে এরই মধ্যে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলি তাদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস এর আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে হামলার নিন্দা করেছিলেন। হামলাকে জঘন্য বলে অভিহিত করে হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান পরিবারগুলিকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত দিন দুয়েকে সেখানকার হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিকে সেখানকার মুসলিমরা ভয় পাচ্ছেন, দেশ ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হলে বাংলাভাষী হিসেবে তাঁদের পরিচয় মুছে যেতে পারে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা বলেছেন বাংলাদেশের পরিচয় একটি বাংলাভাষী জাতি হিসেবে। সেখানে হিন্দু ও মুসলিম উভয়েই একসঙ্গে বসবাস করেন।
Leave a Reply