নিউজ ডেস্ক: সকাল-বেলার অ্যালার্ম। ঘুম থেকে উঠেই মেল চেক করে নিজের ডেইলি রুটিনটা গুছিয়ে করবেন ব্রেকফাস্ট। কিংবা ধরুন ক্লান্ত হয়ে বসে আছেন অফিসের কিউবিকলে অথবা ধরুন উৎসবের মেজাজে গা ভাসিয়ে প্ল্যান করেছেন বন্ধুরা মিলে, তখন যদি হটাৎ করে ইচ্ছা হয় লখনউয়ের দুর্দান্ত গলৌটি কাবাব খেতে। কিংবা হায়দরাবাদের বিরিয়ানি। অথবা দিল্লির বাটার-চিকেন, জয়পুরের পেয়াঁজ কচুরি। আবার হয়তো ভিনরাজ্যের কোনও বঙ্গসন্তানের মনে হটাৎই চেপে বসল গরম গরম রসগোল্লা-পান্তুয়ার ‘ক্রেভিংস’।
এইরকম জগৎজোড়া খ্যাতনামা ভারতীয় আইকনিক ফুড সব রাজ্যেই কম-বেশি পাওয়া যায়। একটু খুঁজলে স্থানীয় দোকান-রেস্তোরাঁয় হয় তো আপনি পেয়েও যাবেন। কিন্তু আসল জায়গার সঙ্গে কী আর তার তুলনা হয়? খাদ্যরসিকদের খাবারের প্রতি এই ‘প্যাশন’কেই এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে জোমাটো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে খাবার ডেলিভারি হয়ে যাবে আপনার চৌহদ্দির মধ্যেই।
জোমাটোর ইন্টারসিটি লেজেন্ডেস
ইন্টারসিটি লেজেন্ডস পরিষেবার মাধ্যমে জোমাটো বিভিন্ন ভারতীয় শহরের আইকনিক খাবার পাবেন।
কিন্তু এত দূর থেকে কীভাবে আসবে খাবার ?
জোমাটো জানিয়েছে, অর্ডার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাবার রান্না হবে এবং তা প্যাক করা হবে। একদিনের মধ্যেই ফ্লাইট বা সড়কপথে আপনার বাড়ি বা অফিসের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
খাবারগুলি যাতায়াতের সময় নিরাপদ রাখতে, ‘পুনরায় ব্যবহারযোগ্য’ অর্থাৎ টেম্পার-প্রুফ পাত্রে প্যাক করা হবে। কোনো ধরনের প্রিজারভেটিভ প্রয়োগ না করে অত্যাধুনিক মোবাইল রেফ্রিজারেশনের মাধ্যমে খাবারগুলি সংরক্ষণ করা হবে।
শুনতে অবাক লাগছে ?
ইতিমধ্যেই জোমাটো গুরগাঁও এবং দক্ষিণ দিল্লিতে নির্দিষ্টি কিছু ব্যবহারকারীদের নিয়ে এই পরিষেবার ট্রায়াল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্মৃতি উস্কে ফিরছে ক্যাম্পা কোলা, দীপাবলিতে কোক-পেপসিকে চ্যালেঞ্জ আম্বানির
Zomato এর CEO দীপিন্দর গোয়ালের মতে, জোমাটো ব্যবহারকারীরা এখন তাদের ঘরে বসে এখন যেকোন শহরের আকর্ষণীয় খাবারগুলির স্বাদ পাবেন। “‘ইন্টারসিটি লিজেন্ডস’-এর সাথে, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি কলকাতার বেকড রসগোল্লা, হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি, বেঙ্গালুরু থেকে মাইসুর পাক, লখনউ থেকে কাবাব, পুরানো দিল্লির বাটার চিকেন বা জয়পুরের পিয়াজ কাচোরির মতো কিংবদন্তি খাবার অর্ডার করতে এবং উপভোগ করতে পারেন৷”
Leave a Reply